আমি কল্পনাবিলাসী, লিখতে ভালোবাসি। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা—ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে। আমিও তাই করার চেষ্টা করেছি।
ছোটবেলা থেকেই আমি পড়তে পছন্দ করি। হাতের কাছে যা কিছু পেতাম পড়ে ফেলতাম এক নিমেষে। এমনকি বাদামের ঠোঙা বা দেয়ালের লেখনী বা পোস্টার, সাইনবোর্ড যেকোনো কিছু চোখের নাগালের মধ্যে পেলেই পড়ে ফেলি। পড়াটা ছিল আমার অনেক বড় একটা নেশা।
আমার নানা ছিলেন উত্তরবঙ্গের একজন নামকরা পুস্তক ব্যবসায়ী। তিনি কলকাতা থেকে বই নিয়ে এসে সাপ্লাই দিতেন সারা উত্তরবঙ্গে। যখন বইগুলো কলকাতা থেকে আসত তার কিছু অংশ থাকত আমাদের বাড়ির দুটি ঘরে বন্দি হয়ে। আমি সেই ঘরে ঢুকে হাজার বইয়ের গন্ধ নিতাম। পরম মমতায় স্পর্শ করতাম, আর দেখতাম তাকিয়ে তাকিয়ে- অজস্র বই সাজানো আছে ঘরজুড়ে। আমাকে নানা আমার পছন্দের বইগুলো সেখান থেকে নিতে বলতেন। সেখান থেকেই পাওয়া ছোটদের বিশ্বকোষের পাঁচটি খণ্ড শিশু বয়সেই পড়ে ফেলি আমি। এই পড়ার কারণেই আমার শিশু মনে তৈরি হয় একটা যৌক্তিক মন। যুক্তি দিয়েই সবকিছু বোঝার চেষ্টা করি। একটি বই ছিল- ধর্মের কথা। সেখানেই প্রথম জানি এই পৃথিবীতে নানা মতের নানা ধর্ম রয়েছে। রয়েছে তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি ও বিশ্বাস। সেখানেই পড়েছি ধর্মের বিবর্তনের কথা অর্থাৎ সময়ের প্রয়োজনে কিভাবে মানুষের বিশ্বাস ধীরে ধীরে যায় বদলে।
আমাদের বাড়ির রাস্তার ঠিক উল্টো পাশে ছিল শিশু একাডেমি। সেখানেও ছিল বই। হাজার হাজার বই। সব শিশুদের জন্য। সেখানেও যেতাম বই পড়তে। উমাদি থাকতেন সেখানে আমাদের জন্য চকলেট নিয়ে। উনি হিসাব রাখতেন সপ্তাহে কে কত ঘণ্টা বই পড়ছে, যার সময় সবচেয়ে বেশি হবে সে সবচেয়ে ভালো আর বেশি চকলেট পাবে। শিশু একাডেমিতে যেতাম বই আর চকলেট, এ দুয়েরই লোভে। তারপর কিশোর বয়সে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের সাথে সখ্য। সেখানে পড়ে ফেলি দেশ—বিদেশের শ্রেষ্ঠ ক্লাসিকস ও সাহিত্যের পাতা।
আমি কল্পনাবিলাসী, লিখতে ভালোবাসি। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা—ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে। আমিও তাই করার চেষ্টা করেছি।
By রাজিক হাসান
Category: কথামৃত
আমি কল্পনাবিলাসী, লিখতে ভালোবাসি। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা—ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে। আমিও তাই করার চেষ্টা করেছি।
ছোটবেলা থেকেই আমি পড়তে পছন্দ করি। হাতের কাছে যা কিছু পেতাম পড়ে ফেলতাম এক নিমেষে। এমনকি বাদামের ঠোঙা বা দেয়ালের লেখনী বা পোস্টার, সাইনবোর্ড যেকোনো কিছু চোখের নাগালের মধ্যে পেলেই পড়ে ফেলি। পড়াটা ছিল আমার অনেক বড় একটা নেশা।
আমার নানা ছিলেন উত্তরবঙ্গের একজন নামকরা পুস্তক ব্যবসায়ী। তিনি কলকাতা থেকে বই নিয়ে এসে সাপ্লাই দিতেন সারা উত্তরবঙ্গে। যখন বইগুলো কলকাতা থেকে আসত তার কিছু অংশ থাকত আমাদের বাড়ির দুটি ঘরে বন্দি হয়ে। আমি সেই ঘরে ঢুকে হাজার বইয়ের গন্ধ নিতাম। পরম মমতায় স্পর্শ করতাম, আর দেখতাম তাকিয়ে তাকিয়ে- অজস্র বই সাজানো আছে ঘরজুড়ে। আমাকে নানা আমার পছন্দের বইগুলো সেখান থেকে নিতে বলতেন। সেখান থেকেই পাওয়া ছোটদের বিশ্বকোষের পাঁচটি খণ্ড শিশু বয়সেই পড়ে ফেলি আমি। এই পড়ার কারণেই আমার শিশু মনে তৈরি হয় একটা যৌক্তিক মন। যুক্তি দিয়েই সবকিছু বোঝার চেষ্টা করি। একটি বই ছিল- ধর্মের কথা। সেখানেই প্রথম জানি এই পৃথিবীতে নানা মতের নানা ধর্ম রয়েছে। রয়েছে তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি ও বিশ্বাস। সেখানেই পড়েছি ধর্মের বিবর্তনের কথা অর্থাৎ সময়ের প্রয়োজনে কিভাবে মানুষের বিশ্বাস ধীরে ধীরে যায় বদলে।
আমাদের বাড়ির রাস্তার ঠিক উল্টো পাশে ছিল শিশু একাডেমি। সেখানেও ছিল বই। হাজার হাজার বই। সব শিশুদের জন্য। সেখানেও যেতাম বই পড়তে। উমাদি থাকতেন সেখানে আমাদের জন্য চকলেট নিয়ে। উনি হিসাব রাখতেন সপ্তাহে কে কত ঘণ্টা বই পড়ছে, যার সময় সবচেয়ে বেশি হবে সে সবচেয়ে ভালো আর বেশি চকলেট পাবে। শিশু একাডেমিতে যেতাম বই আর চকলেট, এ দুয়েরই লোভে। তারপর কিশোর বয়সে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের সাথে সখ্য। সেখানে পড়ে ফেলি দেশ—বিদেশের শ্রেষ্ঠ ক্লাসিকস ও সাহিত্যের পাতা।