Purchase!

রাজিক উবাচ

আমি কল্পনাবিলাসী, লিখতে ভালোবাসি। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা-ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে। আমিও তাই করার চেষ্টা করেছি।
By রাজিক হাসান
Category: কথামৃত
Paperback
Ebook
Buy from other retailers
About রাজিক উবাচ
আমি কল্পনাবিলাসী, লিখতে ভালোবাসি। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা-ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে। আমিও তাই করার চেষ্টা করেছি।

ছোটবেলা থেকেই আমি পড়তে পছন্দ করি। হাতের কাছে যা কিছু পেতাম পড়ে ফেলতাম এক নিমেষে। এমনকি বাদামের ঠোঙা বা দেয়ালের লেখনী বা পোস্টার, সাইনবোর্ড যেকোনো কিছু চোখের নাগালের মধ্যে পেলেই পড়ে ফেলি। পড়াটা ছিল আমার অনেক বড় একটা নেশা।

আমার নানা ছিলেন উত্তরবঙ্গের একজন নামকরা পুস্তক ব্যবসায়ী। তিনি কলকাতা থেকে বই নিয়ে এসে সাপ্লাই দিতেন সারা উত্তরবঙ্গে। যখন বইগুলো কলকাতা থেকে আসত তার কিছু অংশ থাকত আমাদের বাড়ির দুটি ঘরে বন্দি হয়ে। আমি সেই ঘরে ঢুকে হাজার বইয়ের গন্ধ নিতাম। পরম মমতায় স্পর্শ করতাম, আর দেখতাম তাকিয়ে তাকিয়ে- অজস্র বই সাজানো আছে ঘরজুড়ে। আমাকে নানা আমার পছন্দের বইগুলো সেখান থেকে নিতে বলতেন। সেখান থেকেই পাওয়া ছোটদের বিশ্বকোষের পাঁচটি খন্ড শিশু বয়সেই পড়ে ফেলি আমি। এই পড়ার কারণেই আমার শিশু মনে তৈরি হয় একটা যৌক্তিক মন। যুক্তি দিয়েই সবকিছু বোঝার চেষ্টা করি। একটি বই ছিল- ধর্মের কথা। সেখানেই প্রথম জানি এই পৃথিবীতে নানা মতের নানা ধর্ম রয়েছে। রয়েছে তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি ও বিশ্বাস। সেখানেই পড়েছি ধর্মের বিবর্তনের কথা অর্থাৎ সময়ের প্রয়োজনে কিভাবে মানুষের বিশ্বাস ধীরে ধীরে যায় বদলে।

আমাদের বাড়ির রাস্তার ঠিক উল্টো পাশে ছিল শিশু একাডেমি। সেখানেও ছিল বই। হাজার হাজার বই। সব শিশুদের জন্য। সেখানেও যেতাম বই পড়তে। উমাদি থাকতেন সেখানে আমাদের জন্য চকলেট নিয়ে। উনি হিসাব রাখতেন সপ্তাহে কে কত ঘণ্টা বই পড়ছে, যার সময় সবচেয়ে বেশি হবে সে সবচেয়ে ভালো আর বেশি চকলেট পাবে। শিশু একাডেমিতে যেতাম বই আর চকলেট, এ দুয়েরই লোভে। তারপর কিশোর বয়সে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের সাথে সখ্য। সেখানে পড়ে ফেলি দেশ-বিদেশের শ্রেষ্ঠ ক্লাসিকস ও সাহিত্যের পাতা।

আমার ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে পড়ে ফেলি সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলি। এবার সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে সংক্ষেপে বলি- সৈয়দ মুজতবা আলী পড়াশোনা করেছেন রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় শান্তিনিকেতনে, কিছুদিন কায়রোতে, একপর্যায়ে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে পিএইচডি ‘তুলনাত্মক ধর্মতত্ত্বে’ । রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য ছিলেন তিনি।

আমি তার পিএইচডি থিসিসও সংগ্রহ করে পড়ে ফেলি। মুজতবা আলী পড়ার পর তুলনাত্মক ধর্মতত্ত্বের ওপর গভীর আগ্রহ জন্মে আমার। আমি ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি মূলত তার পর থেকেই।
ইসলাম নিয়ে পড়ার সবচাইতে বিভ্রান্তকর দিক হচ্ছে কোরআনের ‘তাফসির’। মুহাম্মদের মৃত্যুর পরে আজ পর্যন্ত কোরআনের শত শত তাফসির হয়েছে। অনেক তাফসির সরাসরি একে ওপরের বিপরীত। ধরুন, এ রকমের বহু তাফসির পাওয়া যাবে যেখানে ব্যভিচারের দায়ে নারী-পুরুষকে পাথর ছুড়ে হত্যাকে শতভাগ জায়েজ করা যাবে আবার এমনও তাফসির পাওয়া যাবে যেখানে এ ধরনের কাজকে সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী বলে বিধান দেওয়া যাবে।

বহু ইসলামি স্কলার ইসলামের সবচাইতে বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য করেছেন এই ইসলামি তাফসির। ধর্মকে বুঝতে হবে নিজের কাÐজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা দিয়ে। পায়ের বুড়ো আঙুলের নখ কীভাবে কাটতে হবে সে বিষয়ে কোরআনের আর সুন্নাহর নির্দেশ কী? এ ধরনের প্রশ্নের বদলে মুসলমানেরা যখন কোরআনকে কেবল একটা আধ্যাত্মিকতার উৎস হিসেবে নিতে পারবেন সেদিন তাফসিরের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে। তাফসিরভিত্তিক ইসলামকে ইতিমধ্যে চ্যালেঞ্জ করা শুরু হয়েছে, আপাতত একাডেমিক চত্বরে।

খ্রিষ্টধর্ম সম্পর্কে জানার ব্যাপৃতি বাড়ে লন্ডন বাসের সময়। ২০০৭ থেকে ২০১২ এই পাঁচ বছর আমি পড়েছি রোমান ইতিহাস, ইংল্যান্ডের ইতিহাস এবং বাইবেলের নানা কাহিনি। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট আর নিউ টেস্টামেন্ট পড়লে মোটামুটি ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ধর্ম সম্পর্কে এজটা ধারণা পাওয়া যায়। ইউরোপের খ্রিষ্টানরা নির্মোহ ইতিহাস আলোচনা বেশ আগ্রহ সহকারেই করে। এমনকি ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা-বিদ্রুপ সবই ওই সমাজে চলে। ‘লাইফ অফ ব্রায়ান’ আমার দেখা শ্রেষ্ঠ একটি অ্যান্টিরিলিজিয়াস মুভি, যা ওই সমাজের স্কুলের বাচ্চারাও আগ্রহ সহকারে দেখে। ছবিটি জিসাস ক্রাইস্টের জীবনের উপর নির্মিত ঠাট্টা-বিদ্রুপাত্মক একটি ছবি।

আমি গ্রিক/রোমান মিথলজি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। আমার একটি বই ছিল যার নাম সাইক্লোপেডিয়া অব ওয়ার্ল্ড মিথোলজি, বইটি আমি ৫০ পাউন্ডে কিনেছিলাম এক দোকান থেকে। বইটি ছিল আমার খরিদ করা বইয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যের কেনা একটি বই।

বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা আর জ্ঞান আমার সামান্যই আছে। বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে জানার পরিধি আমার গৌতম বুদ্ধের জীবন দর্শন ও জীবন কাহিনির মধ্যে।

হিন্দুদের রামায়ণ ও মহাভারত প্রথম পড়ি কিশোর বয়সে। তারপর মহাভারত বইটি বহুবার পড়েছি। মহাভারতের রবীন্দ্র মূল্যায়ন আমার অসাধারণ লেগেছে। ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মগ্রন্থের ভাষ্য অনুযায়ী হিন্দুধর্ম অন্য ধর্ম থেকে বেশ আলাদা। হিন্দু বহু দেবতা মানতে পারে, না-ও মানতে পারে। উপনিষদের আত্মা, ব্রহ্ম একাত্মানুভূমিতে তার মোক্ষের সাধন করতে পারে, না-ও পারে। গিতার পরমপুরুষকে উপেক্ষা করে বৃন্দাবনের রসরাজকে হৃদয় আসনে বসাতে পারে, আবার না-ও পারে। সর্বভূতে দেবীকে শান্তিরূপে দেখতে পারে, না-ও পারে। পূর্বজন্ম পরজন্ম মানতে পারে, কিংবা স্বর্গ-নরকে বিশ্বাস করতে পারে অথবা উভয়ের সম্মিলনও করতে পারে। এক কথায় হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাস কয়েকটি বিশেষ সংঘবদ্ধ সংকীর্ণ তত্ত্ব বা তথ্যে গন্ডিবদ্ধ নয়!

এই বছরে যে বইগুলো পড়েছি আমি, ওরিয়েন্টালিজম, পন্ডিত নেহরুর ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’, মহাত্মা গান্ধীর ‘অ্যান অটোবায়োগ্রাফি, দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ’, বারাক ওবামার ‘অডাসিটি অব হোপ’, নেলসন ম্যান্ডেলার ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’, জয়া চ্যাটার্জীর ‘বাংলা ভাগ হলো’, খুশবন্ত সিংয়ের ‘দিল্লি’। এ বইগুলো বর্তমান পৃথিবী এবং তার সংকট, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সভ্যতার সংঘর্ষ, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং এসবের প্রকৃত স্বরূপ ও উৎস কী ভাবতে, জানতে ও বুঝতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। এই বইগুলো আমার ভাবনাকে নতুন দিগন্ত দেখিয়েছে, আমার বিবেচনাবোধকে শাণিত করেছে, আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আমি মন খারাপ হলে লিখি। আবার কোনো কারণে মন উৎফুল্ল থাকলেও লিখি। মিথ, ধর্মতত্ত্ব, তুলনাত্মক ধর্ম, ঈশ্বর ভাবনা, ইতিহাস, রাজনীতি, রাজনীতির ইতিহাস, প্রাচীন সভ্যতা, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, যুদ্ধরীতি, দর্শন, সাহিত্য সবকিছুতেই আগ্রহ আমার; আমি সবকিছু নিয়েই লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

লেখালেখির আর একটা কারণ, লেখালেখির মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে হৃদয়ের একটা সংযোগ তৈরি হয়। আসলে লেখা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে না বলা কথা জানানোর উপায় থাকে না। সেই তাড়না থেকেই আমি লিখি। আমাদের চিন্তার আশ্রয় মানসিক অভিজ্ঞতা। প্রতিভা নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে বলে আমার মনে হয় না। যদিও আত্মজ্ঞানের অভাব, রহস্যাবরণের লোভ আর নিরাপত্তার জন্য প্রতিভাবানেরা কথাটা মেনে নেয়। মানসিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ইচ্ছা ও উৎসাহ আর প্রক্রিয়াটির চাপ ও তীব্রতা সহ্য করার শক্তি অনেকগুলো বিশ্লেষণযোগ্য বোধগম্য কারণে সৃষ্টি হয়। এটা বাড়ে অথবা কমে।

আসলে লেখার ঝোঁকও অন্য দশটা ঝোঁকের মতোই হয়। ছবি আঁকা শেখা, অঙ্ক শেখা, গান শেখা, খেলতে শেখা, টাকা রোজগার করা ইত্যাদির দলেই লিখতে চাওয়া। লিখতে পারাটাও আসলে নির্ভর করে ওই লিখতে শেখার একাগ্রতার ওপর। তবে বক্তব্যের মজুদ থাকাটা জরুরি। পড়লেই লেখক হওয়া যায় না, এটা সত্যি। তবে লিখতে গেলে প্রচুর পড়াশোনা চাই, এটাও সত্যি।

বালকের অতীত সে রকমভাবে আকর্ষণ করে না। গুরুজনদের বলা গল্প, আমাদের এই শহরের গল্প, বাবা-মায়ের শৈশব-কৈশোরের নানা কাহিনি, আগের দশকে কলেজে, হোস্টেলে বাবার ছাত্রজীবনের অনেক ঘটনাই সে রকম মন দিয়ে শুনিনি। তা আজ আর মনেও নেই। পারিবারিক ইতিহাসের অনেকটাই সেই গুরুজনদের বিদায়ের সঙ্গেই বিলুপ্ত হয়েছে। এসব তথ্য লিপিবদ্ধ থাকলে পরবর্তীকালের ইতিহাসবিদদের কাছে অমূল্য প্রাথমিক সূত্র হতো।

মন গড়া গল্প নয়, আমি লিখি জীবন নামে এক মহার্ঘ প্রাপ্তি থেকে নেওয়া টুকরো টুকরো শিক্ষা বা ঘটনার গল্প। আমাদের এই প্রজন্মের অনেকেই একই কাজ করছেন। আমরা সবাই মিলে লিপিবদ্ধ করছি এই ইতিহাস। একদিন হয়তো এই ছড়ানো-ছিটানো লেখাগুলোকে ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদ বা সমাজবিজ্ঞানীরা মর্যাদা দেবে। হয়তো মর্যাদা দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এসব ভেবেই লিখে চলি।

লেখালেখির আর একটি কারণ হচ্ছে, প্রসারিত এক জীবনযাপনের লোভেই লেখালেখি করি। আমার প্রিয়জনেরা যেন আমাকে আরও একটু বেশি ভালোবাসে, তাই আমি লিখি।

আমি বিশ্বাস করি, একজন লেখক আক্ষরিক অর্থে একজন স্বাধীন মানুষ। সে কারও তোয়াক্কা করে না, কাউকে ভয় পায় না। একজন লেখক কখনোই সাধারণ মানুষ নয়।

একজন লেখকের মনের মধ্যে অজস্র চাওয়া-পাওয়া, মিলন-বিরহ দ্রবীভ‚ত হতে থাকে। সে ইচ্ছেমতো সেখান থেকে যেকোনো অনুভ‚তি বের করে আনতে পারে। লেখকের কোনো জেন্ডার নেই। একজন লেখকের মধ্যে একই সঙ্গে বাস করে একজন পুরুষ ও একজন নারী।

একজন লেখককে ব্যক্তিজীবনের অনেক ওপরে উঠে নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে লিখতে হয়। কারও চোখ-রাঙানিকে ভয় পেলে সে আর যা-ই হোক লেখক হতে পারবে না।

সে একা, সে একক, সে একমেবাদ্বিতীয়ম। একজন লেখককে হতে হয় একই সঙ্গে সংসারত্যাগী, শৈবদের মতো উদাসীন ও নির্বিকার, শাক্তদের মতো কঠোর ও নির্দয় এবং বৈষ্ণবদের মতো বিনয়ী ও অনুভ‚তিপ্রবণ।

একজন সাধারণ মানুষ যখন লেখকে উন্নীত হয় তখন তার ব্যক্তিসত্তা ও লেখকসত্তার মধ্যে অবিরত চলতে থাকে এক তুমুল যুদ্ধ। তখন এই যুদ্ধের ফলে একজন লেখকের মনের মধ্যে হতে থাকে নিরন্তর রক্তক্ষরণ। এটাই তার নিয়তি, এভাবেই তার বেঁচে থাকা।

আমার এই বইটি লিখতে সবচেয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে আমার সহধর্মিণী সাদিয়া আফরিন। বইটি প্রকাশ করতে উৎসাহ জুগিয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আমার প্রিয় জয়ন্তদা। ‘রাজিক উবাচ’ নামকরণও করেছেন তিনি। এই দুজন মানুষকে ধন্যবাদ দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।

প্রকাশক আজাদ ভাইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তার সৃষ্টিশীল নির্মাণ এবং চমৎকার প্রচ্ছদ বইটিকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

খৈয়াম লিখেছেন, রুটি ও মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা- যদি তেমন বই হয়। একটি ভালো বই নিজের বুকশেলফে রাখা মানে হচ্ছে, হাতের কাছে একটি স্থায়ী আনন্দের উপকরণ গচ্ছিত রাখা। ‘রাজিক উবাচ’ তেমনই একটি বই।

নিজের বই বলে কথা, একটু-আধটু প্রচারণা তো করতেই হয়। মুজতবা আলীর বইয়ে পড়েছিলাম, নিজের ঢোল নিজে বাজানোই উত্তম, অন্যের হাতে পড়লে তা ফাটিয়ে দিতে পারে।

কিশোর থেকে যুবক, বৃদ্ধ সকল পাঠকদের উপযোগী করে লেখা এ বইটিতে আছে মজার গল্প, আছে দুঃখ, বিষাদ, আনন্দ, হাসি কান্না, বিরহ, ব্যথা, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি, বিজ্ঞানমনস্কতা থেকে শুরু করে ঈশ্বর ভাবনা, তুলনাত্মক ধর্ম ও সংস্কৃতি এবং নিজেকে জানার মতো গূঢ়তত্ত¡ নিয়ে আলোচনা। কেউ যদি আড্ডা ভালোবাসেন বইটি তার জন্য, কেউ যদি নির্ভেজাল বিনোদন চান বইটি তার জন্যে, কেউ যদি ভালো বক্তা হতে চান বইটি তার জন্য। কেউ যদি চিন্তা ও আবেগকে পরিশীলিত করতে চান বইটি তার জন্য।

রাজিক হাসান
Creative Dhaka
  • Copyright © 2025
  • Privacy Policy Terms of Use